শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
বায়েজিদ কবির, মেলান্দহ : বন্যার্ত মানুষদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে মেলান্দহ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা, এবং সকলেই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ তহবিলে অর্থও দিচ্ছেন।
আজ বুধবার (৯ই অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেলান্দহ বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় বিভিন্ন বাজারে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন শেরপুর জেলার লক্ষাধিক মানুষ।এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বুধবার পর্যন্ত বন্যার কবলে পরে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন এবং এখনো অনেকেই নিখোঁজ। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠনগুলো এবং সকল সাধারণ জনগণ ত্রাণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদগ্রীব।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পৌনে দুই লাখ কৃষকের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বন্যায় শেরপুরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সমপরিমাণ। তিন হাজার মাছের ঘের ভেসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বন্যার কারণে জেলার ২৪২টি প্রাথমিক ও ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।মেলান্দহ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ মোশারফ,জুবায়ের বলেন, আমরা সাধারণ ছাত্ররা যে যেভাবে পারতিছি বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে মোড়ে মোড়ে মসজিদ গুলোতে আমাদের ভাইয়েরা ত্রাণ সংগ্রহ করছে।
মেলান্দহ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মারিয়া ও উষা আক্তার জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বন্যার কারণে ফেনী সহ অনেক জেলার মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। আমরা সাধারণ মানুষ যদি তাদের পাশে দাড়াতেই না পারি তাহলে এই মনুষ্যত্বের কোনো দাম নেই। তাই আমরা সবাই নিজের সাধ্য মত তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করতিছি এবং অন্যকে ও উৎসাহিত করছি তাদের কে সাহায্যে করার জন্য। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মেলান্দহ বাসি অনেকই।তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জনসেবা মূলক কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। দেশের অনেক জেলায় এখন বন্যার কবলে। বন্যার্তদের সাহায্য করা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব।